Thursday, 28 February 2013
Tuesday, 26 February 2013
Sunday, 17 February 2013
রক্তদান শিবির ("তিনটি ডানার পাখি" বইয়ের কবিতা)
রক্তদান শিবির
চন্দন ভট্টাচার্য
ছিল,
কেটে গেছে।
শিবরাত্রির রাত থেকে ছিল ......
তিনটে হাতচিঠি, দুটো জামরুলতলার অন্ধকার
তারপর, রক্তদান শিবিরের মাঝপথে দুজন স্বেচ্ছাসেবী
যেভাবে নিখোঁজ হয় হয়েও আজ হোলির দিন ফিরে এসেছে
ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাত
পরিষ্কার এক কোপ -----
কেটে গেছে অশান্তির মাথা
ও সন্ধেবেলা গিয়ে বসলো বস্তির পুরনো আড্ডায়
আমারও আলমারি থেকে লো-কাট চুড়িদারখানা
আবার নেমেছে
চন্দন ভট্টাচার্য
ছিল,
কেটে গেছে।
শিবরাত্রির রাত থেকে ছিল ......
তিনটে হাতচিঠি, দুটো জামরুলতলার অন্ধকার
তারপর, রক্তদান শিবিরের মাঝপথে দুজন স্বেচ্ছাসেবী
যেভাবে নিখোঁজ হয় হয়েও আজ হোলির দিন ফিরে এসেছে
ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাত
পরিষ্কার এক কোপ -----
কেটে গেছে অশান্তির মাথা
ও সন্ধেবেলা গিয়ে বসলো বস্তির পুরনো আড্ডায়
আমারও আলমারি থেকে লো-কাট চুড়িদারখানা
আবার নেমেছে
নীল অতিথি ("তিনটি ডানার পাখি" বইয়ের কবিতা)
নীল অতিথি
চন্দন ভট্টাচার্য
আমি এমন নীল অতিথি, তোমরা এত ধর্মপরায়ণ
রাত বারোটায় ভারি আস্তে দরজা খুলে দাও
টিভি চলছে, ভলিউম কম
"প'রে ফেলুন" --- নতুন লুঙ্গি, পাট তোয়ালে এগিয়ে দিচ্ছ
আপনি থেকে কোনও দিনই তুমি-তে নামলে না
ডিমের ঝোল আর রসুনরান্না খেয়ে নিলাম
তোমার বউ যে ঘুমের ঘোরে জলের গেলাস
উলটে ফেলে দিল !
পাশের ঘরে ছেলেমেয়ে জোর ক'রে ঘুমিয়ে
সিগারেটের ছাই সেদিকে, লাইটারেরও বাজনা ভেসে যায়
এই শুয়েছি। মাথার পাশে একটা ফাঁকা বালিশ
অবাক লাগে, চেনা অবাক, তবু অবাক হবোই
চুড়ির শব্দে,
ঘুমভাঙা চোখ আলো নিভিয়ে দিল
চন্দন ভট্টাচার্য
আমি এমন নীল অতিথি, তোমরা এত ধর্মপরায়ণ
রাত বারোটায় ভারি আস্তে দরজা খুলে দাও
টিভি চলছে, ভলিউম কম
"প'রে ফেলুন" --- নতুন লুঙ্গি, পাট তোয়ালে এগিয়ে দিচ্ছ
আপনি থেকে কোনও দিনই তুমি-তে নামলে না
ডিমের ঝোল আর রসুনরান্না খেয়ে নিলাম
তোমার বউ যে ঘুমের ঘোরে জলের গেলাস
উলটে ফেলে দিল !
পাশের ঘরে ছেলেমেয়ে জোর ক'রে ঘুমিয়ে
সিগারেটের ছাই সেদিকে, লাইটারেরও বাজনা ভেসে যায়
এই শুয়েছি। মাথার পাশে একটা ফাঁকা বালিশ
অবাক লাগে, চেনা অবাক, তবু অবাক হবোই
চুড়ির শব্দে,
ঘুমভাঙা চোখ আলো নিভিয়ে দিল
Saturday, 16 February 2013
রাস্তার ঘর ("জগৎমঙ্গল কাব্য" বইয়ের কবিতা)
রাস্তার ঘর
চন্দন ভট্টাচার্য
রাস্তা বহুদিন শখ করেছে
ঘরের ভেতর পর্যন্ত যাবে
যে গম্ভীর লোক সকালে বাজার নিয়ে বাড়ি
যে বাচ্চা স্কুলবাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে
সে লাফ সমাপ্ত করে ইংলিশ মিসের কাছে সন্ধেবেলা
তাদের দলে মিশে গিয়ে দেখবে
রান্নাঘর থেকে ফ্রিজ পর্যন্ত মেয়ে-রাস্তা
কেমন সুন্দরী আর কতোটা শিথিল।
বা, খাবার টেবিলে মোটে একখানা বাউটিপরা হাত
কীভাবে চারটে জীবিত শাখায় মাছের ঝোল পাঠায়।
রাস্তার শখ হয়েছে দেখবে --- শীতরাতে মন থেকে
দেহের ভেতরে যে সরণি বয়ে চলে
সে কোনও ছদ্মনাম পেয়েছে কি না !
ছোট ছোট বিদ্যুৎ-আগুনে যার রূপকথা
ওই একই দামিনীচমকে কি তার বিনাশও হতে পারে?
হ্যাঁ সম্ভব --- ব'লে ঘর রাস্তায় আছড়ে ভেঙে পড়ে
Subscribe to:
Posts (Atom)