Sunday, 2 December 2012

রবীন্দ্ররচনা বলি ("জগৎমঙ্গল কাব্য" বইয়ের কবিতা)

রবীন্দ্ররচনা বলি

চন্দন ভট্টাচার্য

আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে তুমি একটা কথা কিছুতেই
শুনতে পাচ্ছো না উদাসীন যে তিন হাজার টাকার কমে
পাঁচ জনের সংসার চলে না। প্রণামীর খুচরোয় রোজকার
সবজি-বাজারটা হতো, হারামির হাতবাক্স বসিয়ে সে-ও
মন্দিরকমিটি খেয়ে গেছে

এদিকে গতবচ্ছর দিব্যি আকাশভরা সূর্যতারার মধ্যে বাবার স্ট্রোক
হয়ে গেল। পুঁজিপাটা খুইয়ে পাথুরিয়াঘাটায় মালিকের বাড়ি
গিয়েছি --- দেখি পাইকা হরফের ওপর গনেশের বাহন অধিষ্ঠান,
মালিক প্রেসের মেশিন বেচে ভাড়াটে বসাবে। ফিরে এসে তিন দিন
মুখ খুলি না, কোন আলোকে প্রাণের প্রদীপ জ্বালাবো ভেবে ভেবে
শুক্কুরবার সাইকেলে ফের দত্তবাড়ির নিত্যপুজোয় বেরিয়ে-তো-ছি,
এখন ডানহাতে বাবার প্যারালিসিস শালগ্রামশিলা আর বাঁহাতে
হ্যান্ডেল ধরলে ব্রেক নেই, বাকশক্তি থেকেও রহিত --- তা যা হবার
তা...... রাব্বারাব্বা অ্যাক্সিডেন্ট হবে

এই যে চোট লাগল, এর চেয়েও বড় শট খেয়েছি ছোটবেলায়
ইলেকট্রিকের কাজ করতে গিয়ে। কাল যখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টেনেহিঁচড়ে
আনছ তোমরা, তার মধ্যেই ভেবে নিলাম, আবার নিলামে উঠে
কারেন্টের মিস্ত্রি হয়ে যাব, গোলকিপার হয়ে এবার সব শট
আটকে দেব রোনাল্ডো-রিভাল্ডোর। আজ এই বলে তোমার
জ্ঞানচক্ষুর শাটার তুলে দিয়ে যাচ্ছি উদাসীন যে, তু-মি যা-রে
জা-নো সে তো কেউ না, আমরাই "বিশ্বকবি" সিনেমায়
নায়কের স্টান্টম্যান সাজি রোজ, ধ্রুবকাল....

1 comment: