Sunday, 2 December 2012

আবেগকণিকাগুলো ("জাতকের কবিতা"র কবিতা)

আবেগকণিকাগুলো

চন্দন ভট্টাচার্য

সমস্ত দৃশ্যের নিচে কী রয়েছে --- প্রশ্ন এসেছিল
চলো দেখি, উত্তর লিখেছি

চোখে পড়ল আরও দেখা, আরও ডুবতে ভাসতে দেখা
পুণ্য অন্ধকার। অন্ধকার যে-সিঁড়ি-নেই তা-ই বেয়ে
নামছে, তারপর একস্তবক চিৎকার শুনলাম। সেই শব্দে
মন আমার শূণ্যে উৎক্ষেপ হয়েছে ফোয়ারার মতো; গলগল
করে বেরোচ্ছে আবেগকণিকাগুলো লাল, সংযমকণিকাগুলো
সাদা। আমি ওই ফাটানো তুবড়ি থেকে শরীর সরিয়ে
এনে দেখি, ছুটছে অস্তিত্ব এমন জাগ্রত সে দেবতা,
তার পঁচিশটা ইন্দ্রিয় হয়েছে, ইন্দ্রিয়ের ইন্দ্র দেখছে এর নিচে
আর নিচু নেই। কাজেই গাছ থেকে ফল উড়ল হে আকাশে,
আমার হে পিপাসা জন্ম দিল নদী, নদীতে পদ্মাসনে বসে
গলার ভেতরে হাত ডুবিয়ে শক্ত করে ধরেছি ফুসফুস
আর রক্ত রুপোলি এতদিনে
আর রক্ত বলছে, "মুকুতা, দেখোনি?"
সত্যিই মুক্তো নাভিকুন্ডলির মুখে বসা, ওর মধ্যে পথ চাই
ওর মুখ তুলে আমার সঙ্গে তেজ-বিনিময়.....
হচ্ছে না কিছুতেই
দৈব্বাণী শুনছি --- তুমি শুধু এটা তল ছুঁয়েছো পথিক
আরও জন্ম নাও, ফিরে ফিরে এসো সুস্বাগত
আমি ঠিক মুখ মনে রাখি

1 comment: